ভারতের লোকসভা নির্বাচনে দল হিসেবে ক্ষমতাসীন বিজেপি সবচেয়ে বেশি আসন পেতে চললেও চার বছর আগের নির্বাচনের চেয়ে এবার তাদের আসন কমছে। অপরদিকে আসন বাড়ছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট ২৩৪টি আসনে এগিয়ে আছে। ভোট গণনার মধ্যেই ভারতের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে কংগ্রেস।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ছবি পোস্ট করে কংগ্রেস লিখেছে, ‘ধন্যবাদ হিন্দুস্তান।’ ছবিতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে, দলের নেতা রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, এবং সাবেক এআইসিসি সভাপতি সোনিয়া গান্ধী রয়েছেন।
আরেকটি ছবিতে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ভারতীয় সংবিধান জুড়ে দেওয়া হয়েছে। ক্যাপশনে বলা হয়েছে ‘হিন্দুস্তানের জনগণের আওয়াজ- সংবিধান।’
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে উত্তর থেকে দক্ষিণ রায়বরেলি থেকে ওয়েনাড়- একসঙ্গে দুটি কেন্দ্র থেকেই বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে নজির গড়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
উত্তর প্রদেশের রায়বরেলিতে ভারতীয় জনতা পার্টির বিজেপি) প্রার্থী দীনেশ প্রতাপ সিংকে পিছনে ফেলে প্রায় ৪ লাখ ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি। আর তার নিজের কেন্দ্র দক্ষিণের রাজ্য কেরালার ওয়েনাড়েও ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৪২২ ভোটে জয়ী হয়েছেন রাহুল।
মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে একটি সংবাদ সম্মেলনে কংগ্রেস এই নির্বাচনী ফলাফলকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য ‘রাজনৈতিক ও নৈতিক পরাজয়’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে বলেন, ‘এই নির্বাচনের ফলাফল জনগণের ফলাফল। এটি জনগণ ও গণতন্ত্রের জয়। আমরা বলছিলাম যে লড়াই মোদি বনাম জনগণের। ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনের ফল আমরা বিনীতভাবে মেনে নিচ্ছি। জনগণ কোনো দলকে এককভাবে ভোট দেয়নি। বিজেপি শুধু একজনকে ভোট দিতে বলেছিল, কিন্তু ফল মোদির বিরুদ্ধে গেছে। এটা তার রাজনৈতিক ও নৈতিক পরাজয়। যে ব্যক্তি তার নামে ভোট চেয়েছে, এটা তার জন্য বিরাট পরাজয়।’রাহুল গান্ধী উত্তরপ্রদেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, ‘ইউপির জনগণ দেশের রাজনীতি এবং সংবিধানের বিপদ বুঝতে পেরেছে, তারা সংবিধানকে রক্ষা করেছে। আমি সব রাজ্যকে ধন্যবাদ জানাতে চাই তবে আমি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাব উত্তরপ্রদেশকে। কংগ্রেস দল ও ইন্ডিয়া জোটকে সমর্থন করার জন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।’