টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা-আফগানিস্তান ম্যাচটি শুরু হওয়ার আগে কেউ কেউ একটি ব্যাপার আন্দাজ করে নিয়েছিলেন। একদিকে এর আগে কখনো বিশ্বকাপের এই পর্যায়ে উঠে না আসা আফগানিস্তান, অন্যদিকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে একাধিকবার পোড় খাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা। অর্থাৎ আফগানিস্তান যদি এমন বড় ম্যাচের চাপ নিতে পারে, তবে তাদেরও ফাইনালে ওঠার ভালো সুযোগ আছে। কারণ, দক্ষিণ আফ্রিকা তুলনামূলক শক্তিশালী দল হলেও অতীতে সেমিফাইনালে এসে ভেঙে পড়েছে।
কিন্তু ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে ঘটল ঠিক উল্টোটা। সেমিফাইনালে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল আফগানিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকা সেই সুযোগে ৯ উইকেটের জয়ে প্রথমবারের মতো উঠল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে। ১৯৯৮ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ের পর আইসিসির ইভেন্টে এবারই প্রথম ফাইনালে উঠল দক্ষিণ আফ্রিকা।
টস জিতে একটু কঠিন উইকেটে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৫৬ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। ৮.৫ ওভারেই এই রান তাড়া করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার পথে দ্বিতীয় ওভারে কুইন্টন ডি কককে (৫) হারায় প্রোটিয়ারা। আফগান পেসার ফজলহক ফারুকির বলে বোল্ড হন বাঁহাতি এই ওপেনার। চার বল পর নাভিন-উল-হকের (২.৪ ওভার) বলে উইকেটকিপার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ক্যাচ দিয়েছিলেন এইডেন মার্করাম। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে গুরবাজের গ্লাভসে জমা পড়েছিল বল। কিন্তু গুরবাজ টের না পাওয়ায় আফগান অধিনায়ক রশিদ খানও রিভিউ নেননি। এরপর আর কোনো বিপদ ঘটেনি। দ্বিতীয় উইকেটে রিজা হেনড্রিকস ও মার্করামের ৪৩ বলে ৫৫ রানের জুটিতে সহজ জয়ে স্বপ্নের ফাইনালে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
২৫ বলে ২৯ রানে অপরাজিত ছিলেন হেনড্রিকস। ২৯ বলে ২৩ রানে অন্য প্রান্ত ধরে রেখেছিলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক মার্করাম।
আফগানদের তাদের টি–টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে অলআউট করার পথে মাত্র ৩ ওভারে ১৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন প্রোটিয়া পেসার মার্কো ইয়ানসেন। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ইয়ানসেন বলেছেন, ‘সবাই খুব ভালো খেলেছে এবং পরিকল্পনা কাজে লাগিয়েছে। আমরা শুধু নিজেদের পরিকল্পনায় থেকে সেরা
বলগুলো করতে চেয়েছি।’
মার্করাম ও হেনড্রিকস অপরাজিত থেকে ফাইনালে তোলেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে
মার্করাম ও হেনড্রিকস অপরাজিত থেকে ফাইনালে তোলেন দক্ষিণ আফ্রিকাকেএএফপি
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা-আফগানিস্তান ম্যাচটি শুরু হওয়ার আগে কেউ কেউ একটি ব্যাপার আন্দাজ করে নিয়েছিলেন। একদিকে এর আগে কখনো বিশ্বকাপের এই পর্যায়ে উঠে না আসা আফগানিস্তান, অন্যদিকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে একাধিকবার পোড় খাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা। অর্থাৎ আফগানিস্তান যদি এমন বড় ম্যাচের চাপ নিতে পারে, তবে তাদেরও ফাইনালে ওঠার ভালো সুযোগ আছে। কারণ, দক্ষিণ আফ্রিকা তুলনামূলক শক্তিশালী দল হলেও অতীতে সেমিফাইনালে এসে ভেঙে পড়েছে।
কিন্তু ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে ঘটল ঠিক উল্টোটা। সেমিফাইনালে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল আফগানিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকা সেই সুযোগে ৯ উইকেটের জয়ে প্রথমবারের মতো উঠল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে। ১৯৯৮ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ের পর আইসিসির ইভেন্টে এবারই প্রথম ফাইনালে উঠল দক্ষিণ আফ্রিকা।
টস জিতে একটু কঠিন উইকেটে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৫৬ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। ৮.৫ ওভারেই এই রান তাড়া করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার পথে দ্বিতীয় ওভারে কুইন্টন ডি কককে (৫) হারায় প্রোটিয়ারা। আফগান পেসার ফজলহক ফারুকির বলে বোল্ড হন বাঁহাতি এই ওপেনার। চার বল পর নাভিন-উল-হকের (২.৪ ওভার) বলে উইকেটকিপার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ক্যাচ দিয়েছিলেন এইডেন মার্করাম। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে গুরবাজের গ্লাভসে জমা পড়েছিল বল। কিন্তু গুরবাজ টের না পাওয়ায় আফগান অধিনায়ক রশিদ খানও রিভিউ নেননি। এরপর আর কোনো বিপদ ঘটেনি। দ্বিতীয় উইকেটে রিজা হেনড্রিকস ও মার্করামের ৪৩ বলে ৫৫ রানের জুটিতে সহজ জয়ে স্বপ্নের ফাইনালে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
২৫ বলে ২৯ রানে অপরাজিত ছিলেন হেনড্রিকস। ২৯ বলে ২৩ রানে অন্য প্রান্ত ধরে রেখেছিলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক মার্করাম।
আফগানদের তাদের টি–টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে অলআউট করার পথে মাত্র ৩ ওভারে ১৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন প্রোটিয়া পেসার মার্কো ইয়ানসেন। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ইয়ানসেন বলেছেন, ‘সবাই খুব ভালো খেলেছে এবং পরিকল্পনা কাজে লাগিয়েছে। আমরা শুধু নিজেদের পরিকল্পনায় থেকে সেরা বলগুলো করতে চেয়েছি।’
সেরা বোলিংই করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা। তাতে সেমিফাইনালের মতো ম্যাচটাও হয়ে উঠেছে একপেশে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার তাতে মোটেও আপত্তি থাকার কথা নয়। ওয়ানডে বিশ্বকাপে এর আগে পাঁচবার সেমিফাইনালে খেলেও ফাইনালের দেখা পায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এর আগে সেমিফাইনালে খেলেছে দুবার। তৃতীয়বার পাওয়া সুযোগটি কাজে লাগিয়ে ফাইনালে উঠল মার্করামের দল। আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ১৯৯৮ সালে প্রথম সংস্করণে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এই টুর্নামেন্টে চারবার সেমিফাইনাল খেলেছে তারা।
চলতি টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখনো অপরাজিত দক্ষিণ আফ্রিকা। আর এক ম্যাচ (ফাইনাল) জিতলেই ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করবে মার্করামের দল। সেমিফাইনাল জয়ের পর প্রোটিয়া অধিনায়ক বলেছেন, ‘ভালো লাগছে। দারুণ দলীয় প্রচেষ্টা। টস হেরে সৌভাগ্যবান লাগছে। আমরাও ব্যাট করতাম। এমন কন্ডিশনে বোলাররা আলাদা কিছুই করেনি। ঠিক জায়গায় বল করে গেছে। ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা কঠিন হলেও আমরা জানতাম, একটি জুটি গড়তে পারলেই হবে। অপেক্ষায় থাকতে থাকতে যাদের বয়স বেড়ে গেছে, তাদের সন্তুষ্ট করবে এই জয়। আমরা এর আগে কখনো ফাইনালে উঠিনি।’
শনিবার ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভালে ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিপক্ষ এখনো নির্ধারিত হয়নি। গায়ানায় আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে অন্য সেমিফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড। এই ম্যাচে জয়ী দল ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আফগানিস্তান: ১১.৫ ওভারে ৫৬ (আজমতউল্লাহ ১০, গুলবদিন ৯, রশিদ ৮, করিম ৮, ইব্রাহিম ২, খারোতে ২, নবী ০, গুরবাজ ০; ইয়ানসেন ৩/১৬, শামসি ৩/৬, নর্কিয়া ২/৭, রাবাদা ২/১৪, মহারাজ ০/৬)।
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৮.৫ ওভারে ৬০/১ (হেনড্রিকস ২৯, মার্করাম ২৩, ডি কক ৫; ফারুকি ১/১১, রশিদ ০/৮, নাভিন ০/১৫, ওমরজাই ০/১৮, গুলবদিন ০/৮)।
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৯ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: মার্কো ইয়ানসেন (দক্ষিণ আফ্রিকা)।