সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আবারও খেলা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে, অর্থপাচারের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশকে দুর্নীতি মুক্ত করতেই হবে। শেখ হাসিনার অঙ্গীকার আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেই ছাড়ব। একটা কথা বলি, মন্ত্রী যদি সৎ হন, সচিব যদি সৎ হন ওই মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতি হবে না। আমরা জনপ্রতিনিধিরা সৎ হলে দুর্নীতি পালিয়ে যাবে।
বুধবার বিকেলে সাভারের হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডে আওয়ামীলীগ ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়া বিএনপি চালায় লন্ডন থেকে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে। সড়কপথে নয়, নদী পথে নয়, আকাশ পথে বিএনপি চলে। আকাশ পথে ডাক আসে। বিএনপির নেতাদের দিনের আহার, রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। কখন তারেক রহমানের ডাক আসে, কখন কার চাকরি নট হয়ে যায়। ফখরুল সাহেবও শান্তিতে নাই। বড় বড় নেতারা আতঙ্কে আছে। কখন কার গদি শেষ হয়ে যায়, এজন্য তারা তারেক আতঙ্কে আছে। এজন্য তাদের রাতের ঘুম হারাম।
বিএনপির মনের জোর কমে গেছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, বিএনপির মনের জোর কমে গেছে গলার জোর বেড়ে গেছে। একটা কথা আছে, মানুষের শক্তি যত কমে, মুখের বিষ ততো উগ্র হয়। বিএনপির নেতাদের মুখের কোনো ট্যাক্স নাই। তাদের মুখে কোনো লাগাম নাই। লাগাম দিয়ে টানবেন? লাগাম দিয়ে টেনে লাভ নাই। গাড়ি চালাও, বিএনপি বেপরোয়া গাড়ি চালায়। কখন কোথায় দুর্ঘটনা ঘটে কেউ জানে না।
নতুন পেনশন স্কিম নিয়ে শিক্ষকদের আন্দোলন ও কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিএনপি সমর্থন দিয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজই দুপুর বেলা শিক্ষকদের আন্দোলন এবং কোটা আন্দোলনে বিএনপি সমর্থন দিয়েছে। কোটা আন্দোলন আগেও ছিল এখনও আছে। তাদের সঙ্গে ভর করে আন্দোলন করছে বিএনপি। পরনির্ভর হলে আন্দলন হয়?
বিএনপর নতুন কমিটি সম্পর্কে সম্পর্কে তিনি বলেন, নতুন কমিটি কেউ জানে? নতুন কমিটি ভুয়া, বিএনপি ভুয়া। নতুন কমিটির নতুন কর্মসূচি ভুয়া। আন্দোলন কবে হবে? ঈদের পরে, এ বছর না পরের বছর। দিন যায়, মাস যায়, বছর যায় আন্দোলন আর হয় না। মরা গাঙ্গে জোয়ার আর আসে না। মরা গাঙ্গে জোয়ার আসে? বিএনপির হাত, আন্দোলনের হাত ভেঙে গেছে। এখন পরনির্ভর। এখন তারা করছে পরনিন্দা, গীবত।
তিনি বলেন, মনে রাখবেন বঙ্গবন্ধু হত্যার পর শেখ হাসিনার মতো এতো সৎ, দক্ষ, পরিশ্রমী, কুটনৈতিক নেতা বাংলাদেশে একজনও আসেনি। বঙ্গবন্ধু দিয়েছে স্বাধীনতা, শেখ হাসিনা এসেছেন মুক্তি দেওয়ার জন্য। সেই মুক্তির সংগ্রাম বাংলাদেশে চলছে। ২০৪১, তারপর ২১০০ সাল। শেখ হাসিনার টার্গেট অনেক লম্বা। আমরা তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ গড়ার লড়াই করে যাচ্ছি।
আলোচনা সভায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজির আহমদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসামরিক শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য ও আশুলিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জরুল আলম রাজীব।