নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ও নাসিক ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশা বলেছেন, আপনাদের সাথে একসাথে আন্দোলন সংগ্রাম করে মামলার শিকার হয়েছি। সত্য যাচাই না করে কাল অনেক কথাই বলেছেন।
কেউ বলেন বাড়ির ইট খুলে নিয়ে আসবেন, কেউ বলেন শহরে থাকতে দিবেন না। আপনার ভাষা সংযত করুন সত্য যাচাই না করে মুখে যা আসবে তাই বলে যাবেন সেটা মেনে নিবো না।আমাদের কমিটি না থাকলেও হাজার হাজার নেতাকর্মী আমাদের সাথে হাঁটে। কমিটি না থাকলে আপনারা রিক্সায় ওঠার লোকও পাবেন না।
আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বাবা ছেলে একসাথে জেল খেটেছি। ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে আপনারা হত্যা মামলা দিয়েছেন। যাদের সাথে তালমিল হয় না তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেন। এগুলো কেমন রাজনীতি।
আপনাদের বলতে চাই অন্যকোন দলের হলে আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতাম। যেহেতু একই দল করি, আপনাদের বলতে চাই চাঁদাবাজদের মদদ দিবেন না।
শনিবার (৭ সেপ্টম্বর) বেলা সাড়ে ১০ টায় নগরীর মন্ডলপাড়া এলাকা থেকে চাঁদাবাজ, মামলাবাজ, কমিটিবাজ পাকনা টিপুর হাত থেকে নারায়ণগঞ্জবাসী বাঁচার প্রতিবাদের ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এসে তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এসময়ে তিনি আরও বলেন, টিপু সাহেবকে বলব আপনার ভাষা সংযত করুন। আজেবাজে কথা বলবেন না। সুজন ও রাজু গরু লুট করে তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেছে। আপনারা তাদের মদদ দেন আর বলেন জাকির খান জেল থেকে চাঁদাবাজি করছে। যারা বাইরে আছে তাদের বিরুদ্ধে আগে ব্যাবস্থা নিন।
আপনারা দেখেছেন গত ৫ আগষ্ট দেশে ছাত্র জনতার বিপ্লবের পর একদল চাঁদাবাজ তাদের স্বার্থ সিদ্ধ করতে চেষ্টা করছে। আমি আমার ভাই আমানতকে হারিয়েছি, স্কুল কলেজের অনেক ছাত্র জীবন দিয়ে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটিয়েছে।
এই স্বাধীনতা পুরান বোতলে নতুন মদ ঢালার জন্য হয়নি। আমরা বৈষম্য মুক্ত একটি সমাজ চেয়েছি। গত ১৫ বছর শেখ হাসিনার শাসন আমলে মানুষের ভোটাধিকার লুন্ঠিত হয়েছিল, সেভাবেই এক শ্রেনীর লোকজন ৫ তারিখের পর থেকে লুটপাট শুরু করেছে৷
আমি এসপি সাহেবকে বলবো আমরা সরকারি স্থাপনা রক্ষা করেছি আর তারা শহীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আমার দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। আপনারা এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।